Disadvantages of Artificial Intelligence in Bengali
AI অর্থাৎ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স । আপনাদের মধ্যে যাদের একটু টেকনোলজি তে ইন্টারেস্ট আছে ,তারা অবশ্যই এই শব্দ টি শুনে থাকবেন । আর যারা এই শব্দটি প্রথম শুনছেন তাদের জন্য আমি ছোট করে এই শব্দ টির বিশ্লেষণ অবশ্যই করব ।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা ,অসুবিধা জানার আগে এটি কি তা আগে আমাদের জানা প্রয়োজন । সহজ ভাবে বলতে গেলে এটি হল এমন একটি Hitech প্রোগ্রাম যার সাহায্যে কোনো মেশিন মানুষ এর মত নিজে থেকে ডিসিশন নিতে পারে । এবং AI এর এই ক্ষমতা ই ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষতির কারণ হতে পারে ।
ইউটিউব এ যদি আপনারা সার্চ করেন তাহলে এর সুবিধা সম্মন্ধে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন । কিন্তু Alon Mask এর মত আবিষ্কারক এই টেকনোলজি কে মানুষের ক্ষতির কারণ মনে করেন ।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সাধারণত তিন ভাগ বিভক্ত । ফটোশপ,মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ,এক্সেল প্রভৃতি সফটওয়ারে এর পাসা পাসি মোবাইলের অনেক সফটওয়ারে যে AI ব্যাবহার করা হয় তা সাধারণত Week AI ।
আপনারা হয় তো সোফিয়া নামের এই রোবট টিকে দেখে থাকবেন বা কোথাও না কোথাও শুনে থাকবেন এই রোবট সম্মন্ধে । এই রোবট টি তে যে AI প্রগ্রামিং করা হয়েছে তা স্ট্রং AI । এই রোবট টি মানুষের মত নিজে থেকে ডিসিশন নাওয়া ,চিন্তা করা থেকে যে কোনো জিনিস বুঝতে সক্ষম । এবং সৌদি আরব এই রোবট কে দেশের নাগরিকত্ব ও দান করেছে । অর্থাৎ সৌদি আরবে এই রোবট টি মানুষের মতই নিজের অধিকার নিয়ে থাকতে পারবে
এবং সর্বশেষ AI প্রগ্রাম হলো Singularity AI । যখন কোনো AI এই স্টেজ এ পৌঁছাবে তখন সেই মেশিন মানুষ এর ব্রেইন এর থেকেও দ্রুত হারে কাজ করতে পারবে ।সিংগুলারিটি AI প্রোগ্রাম করা যদি কোনো রোবট তৈরি করা হয় তাহলে সেই রোবট নিজের প্রয়োজনে আরো রোবট তৈরি করতে সক্ষম হবে । আপনারা যদি রজনীকান্ত এর রোবট সিনেমা টি দেখে থাকেন আমার এর থেকে বেশি বলার প্রয়োজন হবে না ।
কিন্তু বর্তমান যুগের স্ট্রং AI ও মানুষের ক্ষতি কারণ হতে দাড়াতে পারে । কারণ এই AI এর মাধ্যমেই মানুষের বিভিন্ন কাজ যে কোনো রোবট করতে পারে । এবং এর ফলে ধীরে ধীরে মানুষের কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল । মানুষের প্রয়োজনীয় প্রতিটি কাজের জন্য যদি মেশিন ব্যাবহার করা হয় তাহলে মানুষের আর একে অপরের প্রয়োজন পড়বে না ।
আপনারা যদি ভাবেন এই সব কিছু হতে অনেক দেরি আছে । তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন । এই জিনিসের শুরু অনেক দিন আগেই হয়ে গাছে । বর্তমানে মেশিন মানুষের ভাষা বলতে পারে ,বুঝতে পারে । মানুষের মত চিন্তা করতে পারে এবং দেখতে ও মানুষের মত । খুব কম সময়ের মধ্যেই হয়তো AI সিংগুলারিটি স্টেজ এ পৌঁছাবে ।
কিছু দিন আগেই এমন খবর পাওয়া যায় যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স রোবট কে আর্মি তে ব্যাবহার করা হবে । যারা AI এর পক্ষে তাদের মত , যদি AI রোবট কে যুদ্ধে ব্যাবহার করা যায় তাহলে মানুষের প্রাণ দিতে হবে না । কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বিপক্ষে যারা ,তাদের দাবি এই রোবটকে কে যদি বিপক্ষ দেশ হ্যাক করে নেয় তাহলে সেই রোবট তার নিজের দেশকেই বিপদে ফেলতে পারে ।
কিন্তু তার থেকেও বড় কথা হল যদি এই রোবট আমাদের থেকেও বেশি শক্তিশালী হতে যায় তাহলেকি মানুষের চিন্তা রোবট করবে ? কারণ এভলিউশন এর নীয়ম অনুসারে শক্তিশালী প্রাণী নিজের থেকে থেকে কম শক্তিশালী প্রাণীর পরোয়া করেনা । যেমন বর্তমানে মানুষ সব থেকে শক্তিশালী প্রাণী হল মানুষ এবং নিজের স্বার্থে যে কোন ছোট প্রাণীদের মেরে ফেলে ,তাদের মনোরঞ্জন এর জন্য ব্যাবহার করে , ঠিক সেই ভাবেই মানুষের থেকে শক্তিশালী রোবট মানুষের সাথে এই ব্যাবহার করবে না ,তার কি মানে আছে ।
কিন্তু আমরা এটা অস্বীকার করতে পারি না যে প্রত্যেক জিনিস এর যেমন খারাপ দিক আছে ,তার ভালো দিক ও আছে । এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো দিক আমাদের বর্তমান জীবন কে অনেক সহজ করে তুলেছে । আজ আমরা একটা ছোট মোবাইল এর মাধ্যমে অনেক কাজ করতে পারি , চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং দেশের সুরক্ষা তেও AI এর ব্যাবহার অনেক সুবিধা করেছে ।
কিন্তু বর্তমানে স্ট্রং AI এমন এক জাগায় দাড়িয়ে ,সেই জায়গা থেকে যদি AI কে আরো স্ট্রং করা হয় তাহলে আমরা যে আশঙ্কার কথা আলোচনা করলাম তা সত্যি হতে বেশি দিন লাগবে না । আপনারাই বলুন , আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে কি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি স্ট্রং করা ভালো ? আপনাদের মতা মত কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন এবং অবশ্যই শেয়ার করবেন যাতে আপনার বন্ধু,পরিবার এর লোকজন এই বিষয়ে সতর্ক হতে পারে ।
No comments:
Post a Comment