How to Play Ouija Board in Bengali
আজ জানব ঔইজা বোর্ড সম্মন্ধে . ফ্রেঞ্চ এবং জার্মান শব্দের মিলবন্ধনে ‘ওইজা’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে যার অর্থ ‘হ্যাঁ’। মনে করা হয় যে এই বোর্ড এর মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির আত্মা-র সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব . আমরা যদি ভগবান কে বিশ্বাস করি তাহলে আমাদের এটাও বিশ্বাস করা উচিত যে শয়তান আছে . যদি ভালো শক্তি থাকে তাহলে অবস্যই খারাপ শক্তি ও আছে . সাধারণ ভাবে ভালো শক্তি হোক বা খারাপ শক্তি আমাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে না. কিন্তু কিছু মানুস এই শক্তি কে ডাকে এবং নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে . মনে করা হয় এই খারাপ শক্তি বা আত্মা কে ডাকার একটি উপায়ে হলো ঔইজা বোর্ড .তাহলে চলুন জেনে নি ঔইজা বোর্ড সম্মন্ধে .
খারাপ শক্তি বা আত্মা যখন আমাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে চায় তখন একটি মাধ্যমের প্রয়োজন হয় যেমন কোনো বস্তু , যায়েগা বা মানুসের শরীর . মনে করা হয় ঔইজা বোর্ড হল এমনি একটি মাধ্যম . এই বোর্ডের সাথে যুক্ত আছে হার্ট আকৃতির কাঠের বা প্লাস্টিকের টুকরো, যেটিকে মূলত প্ল্যানচেট বলা হয়ে থাকে। সমতল এই কাঠের বোর্ডে ইংরেজি বর্ণমালা, ০-৯ সংখ্যা, ইয়েস, নো এবং কিছু চিহ্ন থাকে। প্ল্যানচেটের উপর হাত রেখে একটি গোল টেবিলের চারপাশে বসে একত্রে কোনো আত্মাকে ডাকা হয়। ঘরে আত্মার উপস্থিতি টের পাওয়া গেলে প্ল্যানচেটটি আত্মার নির্দেশ মতো বিভিন্ন বর্ণ নির্দেশ করে আর সেই সকল বর্ণ যোগ করে প্রশ্নের উত্তর সাজানো হয়।আমরা মূলত আত্মা নামানোর পুরো কৌশলটাকেই বর্তমানে প্ল্যানচেট বলে থাকি।
প্ল্যানচেটের মাধ্যমে আত্মা নামানোর প্রক্রিয়াটি প্রথম দেখা যায় চীনে। সেখানে একে বলা হতো ‘ফুজি’। এটি মূলত ছিল এক ধরনের জাদুবিদ্যা, যার মাধ্যমে মৃত আত্মাদের সাথে যোগসূত্র স্থাপন করা যেত। আমি আপনাদের সাথে এখন একটি ভিডিও শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন প্লানচেট বা ঔইজা বোর্ড বাবহার করার পরিনতি কি হতে পারে .
আজও আত্মা নামানোর এই প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী মানুষ শরণাপন্ন হন স্পিরিচুয়ালিস্টদের কাছে। তবে বিজ্ঞান তো আর যুক্তি-তর্ক ছাড়া শুধু বিশ্বাসে গা ভাসাতে পারে না। তাই দেখা দরকার বিজ্ঞানের চোখে এই প্ল্যানচেটের ধারণাটি কি? বিজ্ঞানের চোখে পুরো ব্যাপারটিই হলো মনস্তাত্ত্বিক। অর্থাৎ মনের চালনায় পুরো ব্যাপারটি হয়ে থাকে বলে বিজ্ঞানের বিশ্বাস। সাইকোলজির ভাষায় একে বলা হয় ‘ইডিওমোটর ফেনোমেনা’। এটা হচ্ছে সেই অবস্থা যখন ‘অটোসাজেশান’ ক্ষমতার প্রভাবে আমাদের অবচেতন মন বিভিন্ন আদেশ বা নির্দেশ গ্রহণ করতে শুরু করে এবং সেই সাজেশন অনুযায়ী অবচেতন মন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে নড়াচড়া করতে নির্দেশ দেয়। এই নড়াচড়া অবচেতন মনের নির্দেশে হয় বলে এর নিয়ন্ত্রণ কারও নিজের হাতে থাকে না।
No comments:
Post a Comment