Third Eye in Bengali
আপনারা কি কখনো সচেতন মন এবং অবচেতন মনের কথা শুনেছেন? এটি হলো এমন একটি জিনিস যদি আপনি একে নিজের বশে আনতে পারেন তাহলে আপনি আধ্যাত্মিক দৃষ্টি অর্জন করবেন। আপনারা হয়তো ইউটিউবে কখনও না কখনও দিব্যদৃষ্টি বা থার্ড আই নিয়ে কোন না কোন ভিডিও দেখে থাকবেন । কিন্তু আপনারা কি জানেন এই শক্তি আপনারা কি করে পেতে পারেন । আজকের আমরা এটাই এটা নিয়ে আলোচনা করব ।
সচেতন মন ,অবচেতন মন কে বশ করা, ভৌতিক দৃষ্টি ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টি কে এক করা ,এই সবকিছুর নামই হলো দিব্যদৃষ্টি যাকে তৃতীয় চক্ষু ও বলা হয় । মানুষের শরীরে মোট সাত টি চক্র আছে । যার মধ্যে একটি হল এই দিব্যদৃষ্টি । এবং মনে করা হয় যে কোন মানুষ যদি তার দিব্যদৃষ্টি অর্জন করতে পারে তাহলে সে আধ্যাত্মিক দৃষ্টি লাভ করবে , এবং এটিও মনে করা হয় যে আধ্যাত্মিক দৃষ্টির মাধ্যমে সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য জানা সম্ভব ।
কিন্তু সবার প্রথমে আমাদের জানতে হবে আসলে এই দিব্যদৃষ্টি কি। এই দিব্যদৃষ্টি বা তৃতীয় চক্ষু প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই আছে । এটি কোন ধার্মিক বা আধ্যাত্মিক বস্তু নয় । Medical Science একথা প্রমাণ করে যে যে প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই তৃতীয় চক্ষু আছে । বিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে পিনিয়াল গ্ল্যান্ড বলা হয় । এবং এটি মানুষের মস্তিষ্কের দুটি Hemisphere এর মাঝে অবস্থান করে। সাধারণ অবস্থায় এই পিনিয়াল গ্ল্যান্ড সক্রিয় থাকে না বা অন্যভাবে বললে যেতে পারে তৃতীয় চোখ বন্ধ থাকে । কিন্তু এটিকে সক্রিয় করা যেতে পারে । এবং পিনিয়াল গ্ল্যান্ড কে যদি একবার সক্রিয় করা যায় তাহলে সেই মানুষ আধ্যাত্মিক দৃষ্টি লাভ করবে ।
এই তৃতীয় চক্ষু খোলার পর কোন মানুষই কোন কিছু তার থেকে লুকাতে পারে না । কেউ যদি তার কাছে মিথ্যা বলে তাহলে খুব সহজেই সে বুঝতে পারে । এর প্রমাণ আপনারা নিচে দাও ভিডিও-র শেষে দেখতে পারেন । এই তৃতীয় চক্ষু খোলার পর মানুষের Sixth Sense ও সক্রিয় হয়। যেমন ধরুন আপনি কারো কথা ভাবছেন, এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার কাছে তার ফোন বা Massage এলো , বা হয়তো সে নিজেই আপনার কাছে চলে এলো । বা হয়তো ধরুন কোন কিছু ঘটার আগেই সেই ঘটনার আগাম নির্দেশ আপনি কোন ভাবে পেয়ে গেলে । যদি এইসব প্রশ্নের উত্তর আপনার হ্যা হয় তাহলে জেনে রাখুন এইসব Sixth Sense দিব্যদৃষ্টির জন্যই হয়ে থাকে ।
আপনার মনে প্রশ্ন টি অবশ্যই জাগছে যে আসলে কিভাবে এই তৃতীয় চক্ষু খোলা যায় এবং এই অদ্ভুত শক্তি অর্জন করা যায় । এই দিব্যদৃষ্টি অর্জন করার একমাত্র উপায় হলো Meditation । যাকে আমরা ধ্যান বলে থাকি । কারণ এটি মনে করা হয় যে মানুষের মন যখন পুরোপুরিভাবে শান্ত থাকে তখনই মানুষ দিব্যদৃষ্টি অর্জন করতে শুরু করে । এবং মন শান্ত করার সব থেকে ভালো উপায় হলো মেডিটেশন বা ধ্যান ।
এই পৃথিবীতে এখনও বহু মানুষ আছে যারা ধ্যান বা মেডিটেশন এর শক্তি জানেনা । এবং এই সব জিনিসে বিশ্বাসও করে না । কিন্তু একথা সত্যি যে মেডিটেশন আপনার জীবনের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পারে । আপনারা হয়তো আপনাদের জীবনে কোনো না কোনো সময়ে এমন কিছু মানুষের বা সাধুর সম্মুখিন হয়েছেন যে কিনা আপনার সাথে কথা না বলেই আপনার মনের কথা ,আপনার জীবনের সমস্যার কথা বলে দিতে পারে। এই জিনিষটি সম্ভব , কারণ ধ্যান তাকে এটি করতে সক্ষম বানিয়েছে। কিন্তু Meditation করেও সকল মানুষের পক্ষে দিব্যদৃষ্টি পুরো পুরি ভাবে অর্জন করা সম্ভব নয় । কারণ এটি খুবই কঠিন একটি কাজ । আবার দিব্যদৃষ্টি অর্জন করা একেবারে অসম্ভব ও নয় ।
ভারতের 11 বছরের মেয়ে যোগমাতা হলেন এমন এক মানুষ যে এই দিব্যদৃষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে । যোগমাতা-র দাবি সে তার চোখ বন্ধ অবস্থায় তৃতীয় চোখের মাধ্যমে সব কিছু দেখতে পায় । এবং তার এই অদ্ভূত শক্তির প্রমাণ মেয়েটি বহুবার ক্যামেরার সামনে দিয়েছে। আপনারা ইউটিউবে Third Eye Girl সার্চ করে সেই সমস্ত ভিডিও দেখতে পারেন ।
এছাড়া Direct Stim নামক এই ব্যাক্তি ও অদ্ভুত শক্তির অধিকারী । এই ব্যক্তি পুরোপুরিভাবে অন্ধ এবং এক হাত নেই । কিন্তু তা সত্বেও তিনি বাকি সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করতে পারে এবং তার দাবি যে তার এক হাত না থাকা সত্বেও সেই হাতে ব্যথা অনুভব করে । এই সবকিছুর কারন হলো থার্ড আই।
No comments:
Post a Comment