1970 এর দশকে জাপানের একদিকে যেমন অনেক উন্নতি লাভ করেছিল ঠিক তেমনি অন্য আরেক দিক কুচিসাকে অননা নামক এক আত্মার কারণে ভয়ে দিন কাটাচ্ছিল । লোকমুখে শোনা যায় যে রাতের বেলায় কেউ যখন একা ট্রাভেল করে তখন তারা মাস্ক পড়া একটি মেয়েকে দেখতে পায় । মেয়েটি তাদেরকে এসে জিজ্ঞেস করে সে দেখতে সুন্দর কিনা । যদি তার উত্তর না হয় তাহলে মেয়েটি কাচিন রাজ্যের সেই মানুষটিকে খুন করে । কিন্তু তার উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তখন মেয়েটি তার মাস্ক খুলে ফেলে এবং দেখা যায় যে তার ঠোঁট এমনভাবে কাটা জানো কেউ চাকু দিয়ে তার ঠোঁট কেটে ফেলেছে। এরপরে মেয়েটি আবার জিজ্ঞেস করে এসে দেখতে সুন্দর কিনা । যদি লোকটি র উত্তর না হয় তাহলে মেয়েটি সেই মানুষটিকে মেরে ফেলে, কিন্তু সেই মানুষটির উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে মেয়েটি সেই মানুষটির ঠোঁট নিজের মত কেটে ফেলে যার ফলে হয়তো মানুষটির মৃত্যু হয়।
এবার আপনাদের হয়তো মনে হতে পারে সামনে কুয়ো পেছনে খাই মাঝখানে আমি কোথায় যাই । তা যাই হোক এই কারণেই 1970 এর দশকে জাপানের মানুষ অনেক বেশি ভয় ভয় জীবন কাটাচ্ছিল। এই এটা টির নাম কুচিসাকে অননা রাখা হয় এবং জাপানের লোক রা দাবি করেন যে এই ঘটনা সত্য । 1979 সালে কুচিসাকে অননা প্রতি মানুষের ভয় আরো বেড়ে যায় কারণ সে ছোট বাচ্চাদের সাথে এই রকম শুরু করে । মানুষের মনে ভয় এত পরিমাণ বেড়ে যায় যে তারা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার তো দূর বাড়ি থেকে বেরাতে পর্যন্ত দিত না । মানুষের মনে ভয়ের কারণে জাপানে পুলিশের নিগ্রানি অনেক বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ঠিক তখনই এমন ঘটনা সামনে আসে যে একটি পুলিশ গাড়ি এক মেয়েকে ধাক্কা মারে যে এক বাচ্চাকে তাড়া করছিল। যখনই ওই মেয়েটির লাশ পুলিশ দেখে তখন তারা দেখতে পায় যে সত্যি সত্যি সেই মেয়েটির মুখে কুচিসাকে অননা মত কাটা দাগ রয়েছে । ওই মেয়েটির কোনরকম পরিচয় পাওয়া যায় না এবং এটিও জানা সম্ভব হয় না যে মেয়েটি কোথা থেকে এসেছিল এবং সেই কুচিসাকে অননা কি না। কিন্তু এখন হয়তো আমাদের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে কুচিসাকে অননা এইরকম কেন করত। এর উত্তর জানতে হলে আমাদের যেতে হবে 1200 সাল পেছনে ।
এই ঘটনার শুরু হয় তখন যখন এক সুন্দরী মেয়ের সাথে এক সামুরাইয়ের বিয়ে হয়। নিজের সৌন্দর্যের প্রতি অহংকার থাকার ফলে সে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য পুরুষদের সাথে সম্পর্ক করতে থাকে । যখন সেই সামুরাই জানতে পারে যে তার বিবাহিত বউ এইরকম ধরনের কাজ করছে সে তার তরোয়াল দিয়ে মেয়েটির মুখ চিরে ফেলে , এবার দেখা যাক কেউ তাকে সুন্দর বলে কিনা । মেয়ে টির সাথে সাথে মৃত্যু হয় এবং সেই মেয়েটি হয়ত কুচিসাকে অননার আত্মা রূপে ফিরে আসে। Samurai যেহুতু বলেছিল কেউ তাকে সুন্দর বলবে না সেই জন্যই মেয়েটি সবাইকে জিজ্ঞেস করত সে দেখতে সুন্দর কিনা এবং তারপর তার ওপর হামলা করতে ।
এই ঘটনার কত কতটা সত্যি তা আমার জানা নেই কিন্তু কুচিসাকে অননার গল্প অনেক মানুষেরই পছন্দ হয়েছে তাই তারা এই এই ঘটনার কথা Share করে । তাই এটি যদি আপনাদের পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে শেয়ার করবেন ।
No comments:
Post a Comment